দৈনন্দিন
২
আজ--সকাল
থেকে উৎসব।
তোমার জন্যে
অপেক্ষা করেছি
, আজ সারাদিন।
উৎসব ছিল--শরীর-মনে।
সময় এই
প্রথম হয়ে
উঠেছিল মন্থরগতি
বৃদ্ধ কোনো,
সমস্ত কাজে,চোখ
ঘন্টা-মিনিট-সেকেন্ডে।
ওই বুঝি
স্নান সারতে
দেরি হল
রোজের চেয়ে
এক ঘন্টা
বেশি!
বুঝি চুল
ঝেড়ে-বেঁধে
তৈরি করতে
বেরিয়ে গেলো
গোটা দিনটা।
শাড়িটা
আজ বড্ড
বাড়াবাড়ি করছে
তো! বেছে
নিলাম তো
নরম দেখে!
তবুও ?
টিপটা কি
গেল বেঁকে?
যাক গে।
তোমার জন্যে
অপেক্ষা করেছি
আজ গোটা
দিন।
কাঁটার গায়ে
উলের মত
যেন জড়িয়ে
নিয়েছি তোমার
নরম উষ্ণ
হাত,পালকের
মত আঙুল।
রোদে-পোড়া
দিনে ছায়ায়
বসার মত
মাথা রেখেছি
তোমার হাল্কা
কাঁধে--চোখ
ছুঁয়েছে তোমার
চাঁদের আলোর
মত ঠোঁট,
যেন চুপকথায়
চাতকের মত
ভরে নিয়েছি
ঠোঁটের ওম।
তোমার জন্যে
পথ চেয়েছি
আজ সারাদিন।
নিশ্চুপ বইঘরের
জানালায় আছড়ে
পড়েছে নাছোড়
বৃষ্টি-- টুপ-টাপ,টুপ-টাপ,টুপ-টাপ।
খোলা
বই সামনে--পড়েছি,লিখেছি
আর পাতার
পর পাতা
ছিঁড়ে জমে
উঠেছে বাসি
কাগজের ঝুড়ি।
দিনশেষের
অপেক্ষায়,
মুখোমুখি
বসেছো তুমি---
অজন্তার
কৃষ্ণ-ভাস্কর্যের
ছায়ার মতো
নিবিড় সান্নিধ্যে,
তখন,
চাঁদের আলোয়
কৃষ্ণা দ্বাদশীর
টান, নরম
পাপড়ি-হাত
ঝরে-আসা
বকুল যেন।
তবু , মনে
করলেই আঙুল-ড্গায়
শিশির ছোঁয়ার
মতো ছুঁতে
পারি তোমায়।
ইচ্ছে হলেই
চামচ দিয়ে
তুলে ঠোঁট
ছোঁয়াতে পারি
তোমার লাল
চায়ে।
সারাদিন
সারাদিন
সারাদিন
পরে
ইচ্ছে হলেই
তোমায় দেখতে
পারি---
শিউলি ফোটার
সময়টুকুয়।
No comments:
Post a Comment