Saturday, October 18, 2014

দৈনন্দিন (২)


দৈনন্দিন                                         
       

আজ--সকাল থেকে উৎসব।

 তোমার জন্যে অপেক্ষা করেছি , আজ সারাদিন।

 উৎসব ছিল--শরীর-মনে।

সময় এই প্রথম হয়ে উঠেছিল মন্থরগতি বৃদ্ধ কোনো, সমস্ত কাজে,চোখ ঘন্টা-মিনিট-সেকেন্ডে।

ওই বুঝি স্নান সারতে দেরি হল রোজের চেয়ে এক ঘন্টা বেশি!

 বুঝি চুল ঝেড়ে-বেঁধে তৈরি করতে বেরিয়ে গেলো গোটা দিনটা।

 শাড়িটা আজ বড্ড বাড়াবাড়ি করছে তো! বেছে নিলাম তো নরম দেখে! তবুও ?

 টিপটা কি গেল বেঁকে? যাক গে।

 তোমার জন্যে অপেক্ষা করেছি আজ গোটা দিন।

কাঁটার গায়ে উলের মত যেন জড়িয়ে নিয়েছি তোমার নরম উষ্ণ হাত,পালকের মত আঙুল।

 রোদে-পোড়া দিনে ছায়ায় বসার মত মাথা রেখেছি তোমার হাল্কা কাঁধে--চোখ ছুঁয়েছে তোমার চাঁদের আলোর মত ঠোঁট, যেন চুপকথায় চাতকের মত ভরে নিয়েছি ঠোঁটের ওম।

 

তোমার জন্যে পথ চেয়েছি আজ সারাদিন।

নিশ্চুপ বইঘরের জানালায় আছড়ে পড়েছে নাছোড় বৃষ্টি-- টুপ-টাপ,টুপ-টাপ,টুপ-টাপ।

খোলা বই সামনে--পড়েছি,লিখেছি আর পাতার পর পাতা ছিঁড়ে জমে উঠেছে বাসি কাগজের ঝুড়ি।

 দিনশেষের অপেক্ষায়,

                            মুখোমুখি বসেছো তুমি---

 অজন্তার কৃষ্ণ-ভাস্কর্যের ছায়ার মতো নিবিড় সান্নিধ্যে,

 তখন,

 চাঁদের আলোয় কৃষ্ণা দ্বাদশীর টান, নরম পাপড়ি-হাত ঝরে-আসা বকুল যেন।

তবু , মনে করলেই আঙুল-ড্গায় শিশির ছোঁয়ার মতো ছুঁতে পারি তোমায়।

ইচ্ছে হলেই চামচ দিয়ে তুলে ঠোঁট ছোঁয়াতে পারি তোমার লাল চায়ে।

 সারাদিন

সারাদিন

 সারাদিন পরে

ইচ্ছে হলেই তোমায় দেখতে পারি---

                                                       শিউলি ফোটার সময়টুকুয়।